সোশ্যাল-ডিজিটাল-ওটিটি মাধ্যমের খসড়া প্রত্যাহারে ৪৫ আন্তর্জাতিক সংস্থার চিঠি

Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) প্রস্তাবিত ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে খসড়া প্রবিধানমালাটি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গোপনীয়তাকে বিপন্ন করবে। এটি প্রত্যাহার ও পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে ৪৫ আন্তর্জাতিক সংস্থা। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রবিধানটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এনক্রিপশনকে দুর্বল ও অনলাইন নিরাপত্তাকে দুর্বল করবে। এ ছাড়া এটির প্রয়োগ মানবাধিকারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া সাংবাদিক, ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকারকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলবে।
এই প্রবিধানগুলোর মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় তত্ত্বাবধান, স্পষ্টতা, পূর্বাভাসযোগ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষায় যথাযথ প্রক্রিয়ার অনুসরণ ছাড়াই একটি কাঠামো বাস্তবায়ন হবে। প্রবিধানগুলো মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।
ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি বিধিমালা-২০২১ সমস্যাযুক্ত উল্লেখ করে সংস্থাগুলো তাদের চিঠিতে বলেছে, বিটিআরসির এ খসড়া ভারতের অনেকগুলো বিধানকেই প্রতিফলিত করে। ভারতীয় বিধিগুলো গণতন্ত্রকে আঘাত করে এবং তা অনুকরণ করা উচিত নয়।
বিটিআরসিকে খসড়া প্রবিধানটি প্রত্যাহার ও পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এটি ডিজিটাল নিরাপত্তাকে নষ্ট করবে এবং মানবাধিকার ও স্বাধীনতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।
মানবাধিকার রক্ষা এবং বিনা মূল্যে উন্মুক্ত ও নিরাপদ ইন্টারনেট-সুবিধা দিতে খসড়াটি প্রত্যাহার করা এবং পুনর্বিবেচনা করা অপরিহার্য। খসড়া তৈরির আগে অংশীজনদের সঙ্গে গভীর আলোচনার পরামর্শ দিয়ে সংস্থাগুলো বলেছে, এমন কিছু যেন না হয়, যা গণতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং জনগণের অধিকার ও মানুষের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করে।
চিঠি দেওয়া জোটভুক্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে অ্যাক্সেস নাও, আর্টিক্যাল ১৯, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রগ্রেসিভ কমিউনিকেশনস (এপিসি), বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস রিসোর্স সেন্টার, সিসিএওআই, সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড টেকনোলজি, সেন্টার ফর মিডিয়া রিসার্চ (সিএমআর-নেপাল), কোলাবরেশন অন ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি পলিসি ফর ইস্ট অ্যান্ড সাউদার্ন আফ্রিকা, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, ডিজিটাল ডেমোক্রেটিক কোলাবরেশন, ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া, ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন, এনক্রিপ্ট উগান্ডা, গ্লোবাল পার্টনারস ডিজিটাল, গ্লোবাল ভয়েসেস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইনোভেশন সলিউশন ল্যাব, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ান মুসলিম, ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া, ইন্টারনেট সোসাইটি, ইন্টারনেট সোসাইটি কাতালান চ্যাপ্টার, ইন্টারনেট সোসাইটি দিল্লি চ্যাপ্টার, ইন্টারনেট সোসাইটি হায়দরাবাদ চ্যাপ্টার, ইন্টারনেট সোসাইটি ভেনেজুয়েলা চ্যাপ্টার, ইন্টারনেট সোসাইটি কেনিয়া চ্যাপ্টার, ইন্টারপিয়ার প্রকল্প, কপিল গোয়াল (ব্যক্তি), কেআইসিটিনেট, কিজিজি ইয়েতু, লাস্ট মাইল ফোরডি, মনুষ্য ফাউন্ডেশন, জাতীয় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও মানবকল্যাণ সংস্থা ভারত, ওপেনমিডিয়া, ওপেন নলেজ ফাউন্ডেশন, অর্গানাইজেশন অব দ্য জাস্টিস ক্যাম্পেইন, পেন আমেরিকা, র‌্যাংকিং ডিজিটাল রাইটস, এসএফএলসি ডট আইএন, সিম্পলি সিকিউর, টেক ফর গুড এশিয়া, দ্য টর প্রকল্প, উবুন্টিম, ভল্টট্রি ও উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন।

সূত্রঃ প্রথম আলো

shawon

shawon

Leave a Replay

About

VOICE was established in 2001. VOICE was established with the mandate of creating linkages not only between policy-makers and the communities at the grassroots level, but also between organizations through partnership, networking, and information exchange in the community.

Recent Posts

Follow Us

Follow Us